ঢাকা ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
নয়ন খন্দকার, কালীগঞ্জ
শিম শীতকালীন সবজি। কিন্তু গ্রীস্মে আগাম লাগানো শিম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আগাম রূপবান (স্থানীয় নাম) প্রজাতির শিম। আগাম শিম বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কৃষকরা পাইকারী দরে শিম বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। রূপবান জাতের শিম চাষ করে এ এলাকার কৃষকের মুখে হাঁসি ফুঁটে উঠেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ২০ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক চাষী আগাম শিম চাষ করেছেন। উপজেলার বারবাজার ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ের গ্রামের মাঠে বেশি শিমের আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শিমের আবাদে ভরে গেছে। অনেক কৃষক শিমের ক্ষেতে কাজ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে শিম তুলছেন।
মাশলিয়া গ্রামে শিমচাষী রকিবুল ইসলাম জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে আগাম রূপবান জাতের লাল শিম লাগিয়েছেন। দেড় বিঘা জমিতে তার সার,সেচ, কীটনাশক, বাঁশের চটি, পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তিনি দু’দফায় ৫ হাজার টাকার শিমও বিক্রি করেছেন। প্রথম দফায় ৭০ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ৬০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেছেন। অবশ্য খুচরা বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করছেন। তিনি আরো জানান, আগাম লাগানো এ শিম গাছ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যাবে। ৬ মাসে তিনি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্য বাজার ভাল থাকলে অনেক সময় লাখ টাকার শিম বিক্রি হবার সম্ভাবনা থাকে।
তিনি জানান, এখন কয়েক মাস শিমের দাম ভাল পাওয়া যাবে। শীতের সময় শিমের দাম কমে যায়। তখন কৃষকদের ১০/১২ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করতে হয়। খুচরা বিক্রেতা তখন ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেন। সবমিলিয়ে খরচ খরচা বাদে তার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।
কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান ২ বিঘা জমিতে একই গ্রামের বাহার আলী দেড় বিঘা জামিতে, নিত্যানন্দী গ্রামের কামরুল ইসলাম দেড় বিঘা জমিতে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন আড়াই বিঘা জমিতে, গৌরিনাথপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন দেড় বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন। তাদের মত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের একাধিক চাষী শিমের আবাদ করেছেন। এসব চাষীরা ক্ষেত থেকে শিম তুলে কয়েক দফায় বাজারে বিক্রিও করেছেন। দাম ভাল পাওয়ায় রূপবানে হাসি ফুঁটেছে কৃষকের মুখে।
উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আলী হোসেন জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় বারবাজার ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে আগাম জাতের শিমের চাষ বেশি হয়েছে। এ এলাকায় শতাধিক কৃষক আগাম জাতের শিমের চাষ করেছেন। এসব চাষীদের সার, বীজ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের সার্বিকভাবে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
Design and developed by zahidit.com