শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও চাষীদের আখের মূল্য পরিশোধের দাবিতে মোচিক শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ১২:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২০

শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও চাষীদের আখের মূল্য পরিশোধের দাবিতে মোচিক শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি

নয়ন খন্দকার, কালীগঞ্জ ॥ ১৯ জুলাই’২০২০
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীদের ৪ মাসের বেতন ভাতা ও চাষিদের আখের মূল্য পরিশোধসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলীপি দেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল ১০ টায় মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্ণা রানী সাহার হাতে এ স্বারকলিপি প্রদান করেন। স্বারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল, সহ-সভাপতি ফজের আলী, সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও যুগ্ন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা সায়েম বিশ্বাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্বারকলিপি প্রদানকালে মিলের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন ঈদের আগে শ্রমিক ও কৃষকদের পাওনা পরিশোধ না করলে রেল ও সড়ক যোগাযোগ অবরোধের মতো বড় ধরনের কর্মসয়চী পালন করা হবে।স্বারকলিপি প্রদান অন্ষ্ঠুানে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আরো জানান, মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের গত তিন মাসের ৪ কোটি ৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া মাড়াই মৌসুমের কৃষকদের আখের টাকা বাকি রয়েছে ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। শ্রমিকরা আরো জানায়, করোনা সংকটে মিলটি বকেয়া বেতন ও আখের টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিক কর্মচারী ও কৃষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিষয়টি নিয়ে করপোরেশনকে বার বার অবহিত করার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন নেতৃবৃন্দ।


উল্লেখ্য, ২০১৯-২০২০ মাড়াই মৌসুমে ৯৬ কার্য দিবসে এক লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করে। মাড়াই মৌসুম শেষ হওয়ার পাঁচ মাস পার হলে মিল গোড়াউনে এখনো প্রায় ৪ হাজার মেট্রিকটন চিনি অবিক্রিত রয়েছে। চিনি বিক্রি না হওয়ায় শ্রমিক কর্মচারী ও আখচাষিদের পাওয়া পরিশোধ করতে পারছে না মিল কর্তৃপক্ষ।
মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার কবীর জানান, মিলের গোডাউনে প্রায় ২৪ কোটি টাকা মূল্যের ৪ হাজার ৫৫ মেঃটন চিনি ও ৮ কোটি টাকা মূল্যের ৪ হাজার ৩৭১ মেঃ টন চিটাগুড় পড়ে রয়েছে। এছাড়া আখচাষীদের ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। মূলত চিনি ও চিটাগুড় বিক্রি না হওয়ায় কারনে শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা ও আখচাষীদের আখের বকেয়া টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা জানান, বকেয়া বেতন ভাতা ও আখ চাষীদের বকেয়া পাওনা টাকার দাবি আদায়ে চিনিকলের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও আখচাষী কল্যাণ সমিতির পক্ষে থেকে পৃথক ২টি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রদান করা হয়েছে। আমরা স্মারকলিপি পেয়ে জেলায় পাঠিয়ে দিয়েছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ