ঢাকা ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২০
বিশেষ প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ॥
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর-ত্রিলোচনপুর মাঠের মধ্যবর্তী স্থান থেকে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কেয়া খাতুন (১৬) নামের এক কিশোরীর অধ-গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের ছাত্রীর পিতা সামাউল ম-ল জামা-কাপড় ও পায়ের সেন্ডেল দেখে লাশ সনাক্ত করে।
শুক্রবার দুপুরে দাদপুর গ্রামের একটি কলাক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কেয়া খাতুন উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের সামাউল ম-লের মেয়ে। সে বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার থেকে চলতি বছর অষ্টম শ্রেণী পাস করে নবম শ্রেণীতে উঠেছিল।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, কলা ক্ষেতে অর্ধ-গলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশের খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত ছাত্রীর দাদা মোশারফ ম-ল জানান, প্রায় ৪ মাস আগে উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনছুর মালিথার ছেলে সাবজেল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গরু ও গাছ বিক্রির ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তার পুতনি বাড়ি থেকে চলে যায়। সেদিন থেকে সে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজের ঘটনায় গত ১ মার্চ কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করা হয়।
তিনি আরো জানান, তার পুতনি হত্যা ঘটনার সাথে ত্রিলোচনপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজিম ও সলেমানের ছেলে মিলন জড়িত। জিডির পর পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, ওই মাদ্রাসা ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি হয়। জিডির পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আজিম নামের একজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরে অভিযুক্ত পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী।
Design and developed by zahidit.com