ঢাকা ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
নয়ন খন্দকার,কালীগঞ্জ॥
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সদস্যদের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ওসি মাহফুজুর রহমান। থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি পুলিশ সদস্যদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সবার জন্য সমডিউটি বন্টন, নতুন ডিউটি অফিসারের কক্ষ নির্মাণ, নতুন মেস ও ডাইনিং নির্মাণ, পুলিশ সদস্যদের জন্য স্বাস্থ সম্মত টয়লেট নির্মাণসহ একাধিক কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে নতুন ডিউটি অফিসারের কক্ষ নির্মাণ শেষে বৃহস্পতিবার তা উদ্বোধনও করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, ইতিপূর্বে অনেক ওসি কালীগঞ্জ থানায় চাকুরী করেছেন। কিন্তু ফোর্সদের জন্য তেমন কিছুই করেননি। নোংরা পরিবেশে টয়লেট করতে হয়েছে তাদের। মেসে খাবারের কোন পরিবেশ ছিল না। অনেক সময় তাদের দাঁড়িয়ে খেতে হয়েছে। কিন্তু নতুন স্যার যোগদানের পর থেকে পুলিশ সদস্যদের এসব মানবিক দিলগুলি বিবেচনা করে আমাদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য অনেক নতুন নতুন কাজ শুরু করেছেন। রাতে ব্যাটমিন্টন খেলার জন্য পাঁকা ব্যাটমিন্টন ইয়ার্ড তৈরি করে দিয়েছেন। টাইলস্ করে পাঁকা স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট তৈরি করছেন। ডাইনিংসহ নতুন মেস নির্মাণ করছেন। ওয়ালেস অপারেটরের জন্য নতুন ওয়ালেস রুম তৈরি করেছেন।
এছাড়া তিনি সদালপী ও মিষ্টভাষী অফিসার। তিনি কখনো কাউকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন না।
তারা আরো জানান, ওসি মাহফুজুর রহমানের আচার ব্যবহার ও কর্ম দায়িত্বে আধুনিক পুলিশের স্পর্শ পেয়েছে। আমরা তার সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ওসি মাহফুজুর রহমান অনুভুতি প্রকাশ করে জানান, ভাল লাগা থেকে কাজ গুলি শুরু করেছি। কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার জন্য নয়। তাছাড়া ফোর্সরা সাররাত ডিউটি করে ভাল পরিবেশে থাকতে না পারলে তারা অনেক কষ্ট পায়। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে কাজ গুলি হাতে নিয়েছি। এছাড়া তিনি আরো জানান, আমি পরিচ্ছন্নতা ও ডিসিপ্লিনকে ভালবাসি। নিজে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করি এবং ফোর্সদেরও এসেব আওতায় আনতে চাই। সে সব বিষয় বিবেচনা করে কাজ গুলি শুরু করেছি।
উল্লেখ্য ওসি মাহফুজুর রহমান গত ২৮ অক্টোবর কালীগঞ্জ থানায় যোগদান করার পর ৪ নভেম্বর একটি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলিসহ ১০ মামলার আসামি শফিউদ্দীনকে আটক করেন। শফি উদ্দীন বারবাজারের পিরোজপুর গ্রামের সামছুদ্দীন মিয়ার ছেলে। এছাড়া কালীগঞ্জের মাদক সম্রাজ্ঞী নামে খ্যাত ৩০ মামলার আসামি লাভলী বেগমসহ একাধিক সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন। তিনি যোগদানের পর থেকে কয়েক হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও কয়েশ বোতল ফেন্সিডিলসহ অসংখ্য মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন।
Design and developed by zahidit.com