ঢাকা ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোটচাঁদপুর নাসির্ং হোম ক্লিনিকের মালিক ও পৌর মেয়রসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে কোটচাঁদপুর থানা মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে। এদিকে এ মামলার এজাহার নামীয় আসামী ক্লিনিকের আয়া গুলবানুকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এদিকে ধর্ষিতা এ নারী ঘটনার সঠিক তদন্ত করে ন্যায়বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে কোটচাঁদপুর স্থানীয় জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতা শেফালী খাতুনের স্বজন রাকিবুল হাসান, ঈসরাফিল হাসান ও গোলাম রসুল ছাড়াও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নির্যাতিতা অভিযোগ করেন, গত বছরেরর ২১ ফেব্রুয়ারী ক্লিনিকে ডেকে নিয়ে মৌলভী দিয়ে আজাদ আমাকে ভূয়া কাবিনে বিয়ে করেন। এমনকি তার সাথে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখার পরামর্শ দেয়। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে আমি আসামী আজাদকে ঘরে তোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করি।
গেল বছর ২৬ আগষ্ট বিকালে আজাদের সাথে দেখা করতে আমি নার্সিং হোমে আসি। এ সময় বাগ-বিতন্ডা হলে এক পর্যায়ে আজাদ মোবাইল ফোনে স্থানীয় পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামকে ক্লিনিকে ডেকে আনেন। এসময় নার্র্সিং হোসেন নার্স রুমা ও গোলবানু আমাকে একটি কক্ষে আটক রাখে। পরে মেয়র জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানার জন্য আমার রুমে প্রবেশ করেন। এসময় আজাদ, রুমা ও গোলবানু বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। মেয়র জাহিদ একপর্যায় আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি আজাদ ও ক্লিনিকের আয়া ও নার্সদের জানালে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারপিট করে তাড়িয় দেয়। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন কাউকে কিছু বলতে পারিনি। পরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি আমলে নিয়ে কোটচাঁদপুর থানা অফিসার ইনচার্জকে মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। পুলিশ গত ১২ জানুয়ারি মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে। যার নং-১২(১)২০২০। ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারাসহ প্যানাল কোর্ডের ৩২৩/৩২৫।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা চলমান। ওসি জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। একটি মহল আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপূর্ণ করার জন্য এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
Design and developed by zahidit.com