ঢাকা ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
মহেশপুর প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের মহেশপুরে নিয়মনীতির তোয়াক্ক না করে একটি এনজিও’ সংস্থা নামে বেনামে এমপিও ভুক্তির আশ্বাস দিয়ে গড়ে তুলেছে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুল। এক শ্রেণীর মানুষ এই স্কুল নিয়ে করছে নিয়োগ বানিজ্য। এ ধরনের নাম সর্বস্ব সাইন বোর্ড দিয়ে করা হয়েছে প্রায় দেড় ডজন স্কুল।
জানুয়ারী ২০১৯ থেকে এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় দেড় ডজন প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক স্কুলের নাম দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এ সকল স্কুলগুলোতে ম্যানেজিং কমিটি তৈরী করে মাধ্যমিক স্কুলের প্যাটেনে ২০/২২ জন করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। নিয়োগ প্রাপ্তদের কাছ থেকে ৪-৫ লক্ষ টাকা করে ডোনেশন হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। স্কুলগুলোতে খাতা কলমে ১শ’র উপরে শিক্ষার্থী দেখালেও প্রকৃতপক্ষে এ উপজেলায় সমাজেসবা অধিদপ্তরের তথ্য মতে অটিস্টি শিশু আছে মাত্র ২৫ জন। উপজেলার নাটিমা বাজারে গড়ে তোলা হয়েছে একটি প্রতিবন্ধী স্কুল যার নাম দেওয়া হয়েছে আর ইউ এন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আবুল হোসেন মেমোরিয়াল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন মিজানুর রহমান। তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঢাকা মোহাম্মদপুরের রাম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামের একটি বে-সরকারী সংস্থা তাদেরকে পরামর্শক হিসেবে সহযোগিতা করছেন। তাছাড়া ঐ সংস্থাটি স্কুল এমপিও ভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ইতিমদ্যে তারা প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ ১১জন শিক্ষক, অফিস সহকারী ১ জন, কম্পিউটার, আয়া, নৈশপ্রহরী, দপ্তরী ১জন করে ও গাড়ী চালক ২জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সকলের ডোনেশনে জমি ক্রয় ও ঘর তৈরী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হুদা দূর্গাপুর প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুলের সভাপতি আমির হোসেন মেম্বারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাদের স্কুলে ৬০ জন প্রতিবন্ধী শিশু ভর্তি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গিয়াস উদ্দিন সহ আরো ৬জন সহকারী শিক্ষককে । তাদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছে তারমধ্যে ১১লক্ষ টাকা দিয়ে ২০ শতক জমি ক্রয় করা হয়েছে এবং বাকী টাকা স্কুলের জন্য খরচ করা হচ্ছে। একটি এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি শিক্ষকদের একদিনের প্রশিক্ষন দিয়েছে। মহেশপুরে এইভাবে চলছে প্রতিবন্ধী স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে রমরমা বাণিজ্য। এ বিষয়ে মহেশপুর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, এ সম্পর্কে তাদের কিছু জানা নেই।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জুলফিকার আলী জানান, শুনছি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। কোন কোন স্কুল থেকে তাদেরকে দাওয়াতও দেওয়া হয়েছে কিন্তু সরকারের দিক নির্দেশনা না থাকায় তারা এ সকল প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহন করছে না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খোজ নিয়ে দেখা গেছে এ সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা সাধারন ডিগ্রী ধারী। এদের অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী বিষয়ে কোন প্রশিক্ষন নেই। অভিযোগ উঠেছে, উল্লেখিত এনজিওটি বিদ্যালয় থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু মোবাইলে উক্ত এনজিও সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এলাকার সচেতন নাগরিকগন সরকারের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা কেেরছন।
Design and developed by zahidit.com