মহেশপুরে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুল নিয়োগ নিয়ে চলছে অর্থ বাণিজ্য

প্রকাশিত: ১১:১২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০১৯

দাউদ হোসেন, মহেশপুর-
ঝিনাইদহের মহেশপুরে নিয়মনীতির তোয়াক্ক না করেই নামে বেনামে গড়ে উঠেছে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুল। সরকারী স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় রাতারাতি একের পর এক গড়ে উঠেছে এই সমস্ত স্কুল। নির্মাণাধীন বসতবাড়ি, বাড়ির আঙ্গিনা, ভাড়া বাড়ি এবং কোথাও কোথাও নতুন ঘর তৈরী করে টানানো হয়েছে বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড। স্কুলগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে চলছে ব্যাপক অর্থ বাণিজ্য। সরকারের উচ্চ মহল থেকে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করায় সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ রাতারাতি এ উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে। এ সকল মানুষ ভুল তথ্য পরিবেশন করে কমিটি গঠন করে এ সকল বিদ্যালয়ে ৭/৮ জন করে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা। এ সকল শিক্ষকদের প্রতিবর্ন্ধী বিষয়ে কোন প্রশিক্ষন বা ধারনা নেই। প্রচলিত নিয়নেই তারা পাঠদান করে যাচ্ছে। তাদের আশা সরকার প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুলগুলো শিঘ্রই সরকারীকরন করবে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে,এ উপজেলায় এসবিকে ইউনিয়নে ৩টা, ফতেপুর ইউনিয়নে ১টা, নাটিমা ইউনিয়নে ১টা, যাদবপুর ইউনিয়নে ১টা, মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নে ৩টা, আজমপুর ইউনিয়নে ১টা, বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নে ১টা, নেপা ইউনিয়নে ১টা, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুল নির্মান করা হয়েছে। এছাড়া এখনও চলমান রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪/৫ লাখ টাকা করে নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে হুদা দূর্গাপুর প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুলের সভাপতি আমির হোসেন মেম্বারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাদের স্কুলে ৬০ জন প্রতিবন্ধী শিশু ভর্তি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গিয়াস উদ্দিন সহ আরো ৬জনকে সহকারী শিক্ষককে । তাদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছে তারমধ্যে ১১লক্ষ টাকা দিয়ে ২০ শতক জমি খরিদ করা হয়েছে এবং বাকী টাকা স্কুলের জন্য খরচ করা হচ্ছে। একটি এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি শিক্ষকদের একদিনের প্রশিক্ষন দিয়েছে। নিয়োগ প্রার্থী একজন শিক্ষিকা জানায়, তার কাছে ৪লক্ষ টাকা দাবী করা হয়েছে। মহেশপুরে এইভাবে চলছে প্রতিবন্ধী স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে রমরমা বাণিজ্য। এ বিষয়ে মহেশপুর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদ্বয় জানান, এ সম্পর্কে তাদের কিছুই জানা নেই। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জুলফিকার আলী জানান, শুনছি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। কোন কোন স্কুল থেকে তাদেরকে দাওয়াতও দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এসবিকে ইউনিয়নের বজরাপুর গ্রামে একটি স্কুল তিনি পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া আর কোথাও জাননি। তিনি আরো জানান, এ উপজেলায় অটিস্টিক শিশু আছে ২৫ জন এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধী আছে কয়েকশ।