ঝিনাইদহে শিক্ষার সুতিকাগার সরকারী কেসি কলেজ

প্রকাশিত: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৮

ঝিনাইদহে শিক্ষার সুতিকাগার সরকারী কেসি কলেজ

ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক :

ঝিনাইদহে শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে সরকারী কেসি কলেজ। প্রতি বছরই এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের সাথে পড়াশুনা শেষে করে কর্মক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে যার ফলে প্রতিষ্ঠানের স্বুনাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জেলার সব থেকে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী কেসি কলেজ। ১৯৬০ সালে শহরের প্রাণকেন্দ্র অগ্নিবীণা সড়কে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় কলেজটি। শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে ৩ একর  ৫শতক জমি দান করেছিলেন কেশব চন্দ্র পাল। কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন রফিকুল ইসলাম বেগ।

কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠানটি সরকারী করণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে অনার্স(স্নাতক) শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে ১৪ টি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষা কার্যক্রম চলছে প্রতিষ্ঠানে। বিসিএস ভুক্ত ৮৬ জন শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশী।

ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার সুবিধার্থে সরকারী কেসি কলেজে  রয়েছে একটি ছাত্রী ও একটি ছাত্র হোস্টেল। ছাত্রী হোস্টেলটি ব্যবহার হলেও ছাত্র হোস্টেলটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

এছাড়া কলেজটিতে ৬ টি একাডেমীক ভবন ও একটি প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কমনরুম, বিভিন্ন প্রকার বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে লাইব্রেরী।

এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়ে কেউ হয়েছেন রাজনীতিবিদ, কেউবা চিকিৎসক, কেউবা বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। ঝিনাইদহে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল হাই এই কলেজের ছাত্র ছিলেন।

ঝিনাইদহ সরকারী কেসি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ড. বিএম রেজাউল করিম জানান, শুরু থেকেই এই অঞ্চলে শিক্ষার সুতিকাগার হিসাবে কাজ করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। আশপাশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশুনা করে।

তিনি আরো জানান, স্বু-নিদ্রিষ্ট লক্ষ, উদ্দেশ্য ও পরিকল্পিত ভাবে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করছে। চলতি বছরও এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজটি থেকে ৯৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।

(ক্যাম্পাস ঘুরে – শেষ পর্ব)