রাতে নিরাপত্তাহীন ঝিনাইদহের বিভিন্ন রেল স্টেশন

প্রকাশিত: ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮

রাতে নিরাপত্তাহীন ঝিনাইদহের বিভিন্ন রেল স্টেশন

ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক :

ঝিনাইদহে রাতে নিরাপত্তাহীন হয়ে উঠেছে রেলওয়ে স্টেশন গুলো। দিনে যাত্রীর ভীড় থাকলেও রাতে একেবারেই যাত্রী শূণ্য হয়েপড়ে স্টেশনগুলো। কোন সময়ই স্টেশনে টহল নেই জিআরপি পুলিশের। ফলে চুরি ছিনতাইয়ের মত ঘটনা যেমন ঘটছে তেমনি ঘটছে নারী ধর্ষণের ঘটনা।


জেলার বিভিন্ন রেল স্টেশনে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী সহ বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের ভীড় থাকে দিনের বেলাতে। তবে রাতে প্রায় যাত্রীশূণ্য হয়ে পড়ে এসব স্টেশন। কেননা মাঝে-মধ্যেই যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা, কিংবা জিনিসপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।


স্টেশনগুলোর পাশের ঝোপ-ঝাড়ে হরহামেশাই চলে মাদকের আড্ডা। এমনকি নিরাপত্তার অভাবে নারী ধর্ষণের মত ঘটনাও ঘটেছে রেল স্টেশনে।
২০১৭ সালের ৫ মে তারিখ রাতে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে কোটচাদপুর রেল স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা দুই নারী ধর্ষণের শিকার হয়। এতে মামলার পর উপজেলা ছাত্রলীগের সে সময়কার সভাপতি সহ ৩ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে থানা পুলিশ।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ভোর ৪ টার দিকে কোটচাদপুর রেল স্টেশনে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নামা এক যাত্যেিক ছরিকাঘাত করে মোবাইল টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় ৩/৪ জনের একদল ছিনতাইকারী। এতে করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাতে চলাচলকারী যাত্রীরা।


কারন স্টেশন গুলোতে নেই রেলওয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জিআরপি পুলিশের টহল। ১৯৭৩ সালে জেলার সবচেয়ে বড় মোবারকগঞ্জ স্টেশনে ৬ সদস্যের আরএনবি ক্যাম্প(রেলওয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিশেষ বাহিনী) থাকলেও ২০০৫ সালের দিকে তা তুলে নেওয়া হয়।


জেলায় মোবারকগঞ্জ ও কোটচাদপুর সহ ৫ টি স্টেশন রয়েছে। এই স্টেশন গুলোর উপর দিয়ে খুলনা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে ১৮ টি ট্রেন যাতায়াত করে। এগুলোর মধ্যে দিনে আপ এন্ড ডাউন মিলে ৯ টি এবং রাতে ৩ টি ট্রেনের স্টপেজ আছে। দিনের ট্র্রেনে যাত্রী থাকলেও রাতে একেবারেই যাত্রী থাকে না স্টেশনে।


এ অবস্থায় স্টেশনগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী কিংবা জিআরপি পুলিশের টহলের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে যাত্রী ও স্থানীয়রা। তারা জানান, ভাল লাগে বলেই ট্রেনে যাতায়াত করি। আগে রাতে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন দাড়াতো, কিন্তু নিরাপত্তা জনিত কারনে এখন আর দাড়ায় না। কাজেই সরকারের কাছে দাবি স্টেশন গুলোতে যেন দ্রুতই জিআরপি পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়।


ঘটনার সত্যতা শিকার করে মোবারকগঞ্জ স্টেশনের মাস্টার শাহজাহান শেখ জানান, আগেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর ব্যাপারে রেলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা বার বার জানাচ্ছি যেন দ্রুতই জিআরপি পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়।

।(শেষ পর্ব)।