ঢাকা ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০১৭
ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাতলাগাড়ী পশুর হাট জমজমাট। সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ১কি:মি অংশ জুড়ে কিছু ভারতীয় গরু বাদে দেশীয় গরু-ছাগলে বাজার ছয়লাব।
দেশের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় বন্যা হওয়ার পরিপেক্ষিতেও এ বাজারে বড় গরুর তুলনায় মাঝারি গরুর চাহিদা ব্যাপক।
কাতলাগাড়ীর এই হাটটি আশে পাশের এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। হাট টি মেন রোডের পাশে অবস্থান হওয়ায় ও যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসে ব্যাপারীরা।
সোমবার ১২ টা নাগাদ প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে বেঁচাকেনা থমকে দাড়ায়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফিরে আসে সেই চিরচেনা দৃশ্য।
এদিকে হাসিল ঘরে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বেঁচাকেনা নিয়ে বেশি সন্তুষ্টির কথা শোনাতে পারেনি।
এদিকে, অনেক ক্রেতাই মনে করেন ভারতীয় গরুর আমদানি একটু বেশি হওয়ায় হয়তো শেষ পর্যন্ত দাম কমতির দিকে থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের। তবে অনেক বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়,গতবারের তুলনায় দামে তারা সন্তুষ্ট।
অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরা ধারণা করছেন,শৈলকুপা উপজেলাতে যে পরিমাণ গেরস্তের গরু আছে তাতে ঈদ বাজারে কোন কমতি হবে না।
এ হাটে গরু বিক্রি করতে আসা আজীম উদ্দিন মিয়া বলেন, আমি ২টি বড় গরু নিয়ে এসেছি,এক একটি গরু ১লাখ থেকে ১লাখ ৩০ হাজার দাম দিচ্ছে। যা আমার চাহিদা তুলনায় অনেক কম।
তবে এসে দেখছি বড় গরুর তুলনায় মাঝারি সাইজের গরুর দাম ভাল। একটি মাঝারি গরুর দাম কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৬০-৮০ হাজার টাকা।
এ বাজারে সর্ব্বোচ দাম উঠেছে ১লাখ ৮০ টাকার গরু। গরুর পাশাপাশি ছাগলের দামও চড়া। এ বাজারে ছাগলও উঠেছে চাহিদা মত। ১টি খাসি ছাগলে দাম হাকাছেন ২০-২৫ হাজার টাকা।
অপরদিকে, ঈদ বাজার হওয়াতে প্রশাসনের নজর দারি ছিল চোখে পড়ার মত। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার, ছিনতাইকারি কোন ধরনের সমস্যা না করে সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি ভলেন্টিয়ারও ছিল অতিরিক্ত।
এমনকি কোনও বিক্রেতা যদি বড় ধরনের লেনদেন করতে চান ও জাল টাকার প্রতারনার হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে তাদের পুলিশের সহায়তাও দেওয়া হবে বলে বার বার হাসিল ঘর থেকে ঘোষনা দেওয়া হচ্ছে। সর্বপরি ক্রেতা বিক্রেতার পাশাপাশি উৎসুক জনতার ভিড় ছিল দেখার মত।
Design and developed by zahidit.com