ঢাকা ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের ছাত্র হাবিবুর রহমান টুলু হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তালসার গ্রামের মুল্লুক চাঁদ মণ্ডলের ছেলে জাকির মণ্ডল, একই গ্রামের জহির মণ্ডলের ছেলে মিল্টন মণ্ডল, নজরুল মণ্ডলের ছেলে আসাদুল ও ইসমাইল মণ্ডলের ছেলে জাকির। শনিবার বিকালে ঘাগা তালসার বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পিবিআই এর তদন্তে আদালতে হত্যা মামলা ও আসামিদের নামে ওয়ারেন্ট থাকার পরও তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতো বলে অভিযোগ।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় র্যাবের স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি গোলাম মোর্শেদের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক দল তাদের ঘাগা বাজার থেকে হত্যা মামলার এই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, তালসার গ্রামের মেধাবী ছাত্র হাবিবুর রহমান টুলুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতের নির্দেশে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে ২০১৭ সালের ১০ জুন তালসার গ্রামের সাব্দার আলীর স্কুল পড়ুয়া ছেলে হাবিবুর রহমান টুলুকে একই গ্রামের জাকির হোসেন, আসাদুল, নজরুল ইসলাম, আলামিন, মিল্টন, জমির, আমিরুদ্দীন ও জমির পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
হাবিবুর রহমান টুলু হত্যা মামলার আইনজীবী গৌতম কুমার জানান, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর থেকে নানাভাবে বাদীকে হয়রানি করে আসছে। মোটা অংকের টাকার প্রস্তাব দিয়ে মামলাটি মীমাংসা করতে না পেরে প্রধান আসামি জাকির হোসেন বাদী সাব্দার আলীর নামে ৫/৬টি মিথ্যা মামলা করে। ফলে আসামিদের অত্যাচারে উল্টো বাদীই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো।
হাবিবুর রহমান টুলু (১৪) কোটচাঁদপুরের তালসার কাজী লুৎফর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। একই স্কুলের ছাত্রী ও নজরুল মণ্ডলের মেয়ে শাহানাজ ঘটনার তিন দিন আগে অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে তারা স্কুল ছাত্র টুলুকে সন্দেহ করতে থাকে। গত ১০ জুন রাতে প্রধান আসামি জাকির মণ্ডল ফোন করে টুলুকে তার সাথে দেখা করতে বলে। টুলু তার সাথে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
পরদিন গ্রামের একটি বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় টুলুর লাশ পাওয়া যায়। মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার আগেই আসামিরা বাড়ির মালামাল নিয়ে গাঢাকা দেয়।
বাদী টুলুর পিতা সাবদার মণ্ডল জানান, টুলু বাইরে যাওয়ার সময় তার কাছে নিজের শিক্ষা বৃত্তির ১৩’শ ও জমি বিক্রির এক লাখের বেশি টাকা ছিল। সে টাকাও আসামিরা নিয়ে যায়।
Design and developed by zahidit.com