ঢাকা ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ঃ বাবার মুখে হাত বুলিয়ে জিজ্ঞাসা করে আব্বা তুমি নাকি আর বাঁচবা না। অবুঝ সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে হাসান কেবলই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। বাবা হাসানুজ্জামানের কি অসুখ হয়েছে তা জানে না পঞ্চম শ্রেনীতে পড়া অবুঝ শিশু হাবিবা খাতুন ও চার বছরে ছেলে মোঃ রাজিত।
পাড়া প্রতিবেশিদের কাছ থেকে শুধু এটুকুই শুনেছে বাবার যে রোগ হয়েছে তাতে তিনি আর বেশি দিন বাঁচবেনা। কাদতে কাদতে এ কথা গুলো বলেন শিশু হাবিবা খাতুন ও রাজিত । এই ভেবে দুই ভাই বোন বিছানায় শয্যাশায়ী পিতা হাসানুজ্জামানের পাশেই সময় কাটায়। ঝিনাইদহের কোটাচঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের ধোপাবিলা গ্রামের স্কুল পাড়ার গওসার বিশ্বাসের ছেলে হাসানুজ্জামান।
স্ত্রী রেশমা খাতুন জানান, দুই মাস আগে শেষ সম্বল মাঠের জমি বিক্রি ও আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার করে ৫ লাখ টাকা ব্যায় করে ২মাস আগে সৌদি আরবে যায় হাসান। সেখানে তার রক্তে ভাইরাস ধরা পড়লে মালিক তাকে দেশে পাঠিয়ে দেন। ১৫ দিন আগে বাড়ি ফিওে এসে দিন দিন বিছানাগত হয়ে পড়েন তার স্বামী। নিরুপায় হয়ে দেখান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক লিবার ও পরিপাকতন্ত্র বিশষেজ্ঞ চিকিৎসক কাজী মনিসউর রহমানকে। তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভারতের হায়দারাবাদে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ডাক্তারদের ধারণা হাসান হোপাটাইসিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে চিকিৎসা করালে এখনো নিরাময় করা সম্ভব হবে। কিন্তু ভারতে যাওয়ার কোন অর্থ তাদের নেই। আত্মীয় স্বজনদের কাছেও লজ্জায় আর হাত পাততে পারছেন না হাসান। মাত্র ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকার আর্থিক সাহায্য পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পারতেন। অবশিষ্ট কোন জমিজাতিও নেই তা বিক্রি করে চিকিৎসা নিবেন।
দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন হাসান। আপনার একটু সহোযগিতা পেলে হাবিবা খাতুন ও মোঃ রাজিত ফিরে পেতে পাওে তাদের বাবাকে ।
কেও আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে তার ০১৭২০-৯৪৩৯৩৭ নাম্বারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন। তার বিকাশ মোবাইল নং ০১৭২০-৯৪৩৯৩৭
Design and developed by zahidit.com