ঢাকা ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
কোটচাঁদপুর সরকারী বলুহর বাঁওড়ের মাছ লুট করতে বাঁধা দেওয়ায় বলুহর ইউনিয়ন যুবলীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে একদল যুবক হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে শান্তি হালদার (৫০) নামে এক মৎস্যজীবিকে। এ ঘটনায় বাঁওড় সংশ্লিষ্ট সকল মৎস্য জীবিদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রসাশনের কাছে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি’র দাবী করে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
আহত শান্তি হালদার এ প্রতিবেদককে বলেন, শনিবার দুপুরে মৎস্যজীবিরা বাঁওড় থেকে মাছ ধরে বাঁওড় কতৃপক্ষের সমন্নয়ে সিঙ্গিয়া নামক ঘাটে তারা মাছ তোলেন। এ সময় বাঁওড় সংলগ্ন বলুহর গ্রামের যুবগীগের ওয়ার্ড সভাপতি তাপস গড়াই, সেক্রেটারী তরিকুল ইসলাম, আক্কাস, রামচন্দ্রপুর গ্রামের সোহাগ সহ ৮/১০ মৎজীবিদের কাছ থেকে লুটের উদ্দেশ্যে মাছ ছিনিয়ে নিতে গেলে বলুহর গ্রামের রামচন্দ্র হালদারের ছেলে মৎস্যজীবি শান্তি হালদার বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় তারা শান্তি হালদারকে মারধর করে চলে যায়। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে শান্তি হালদার বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে বলুহর প্রাইমারী স্কুলের সামনে পৌঁছানো মাত্র এ ঘটনার জের ধরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা যুবলীগের ওয়ার্ড কমিটি’র সেক্রেটারী তরিকুলসহ ৪/৫জন শান্তি হালদারকে একা পেয়ে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা শান্তি হালদারকে কোটচাঁদপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। বাঁওড় সমিতি’র সেক্রেটারী রনজিৎ হালদার এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রায়ই ওই সকল যুবকেরা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের দোহাই দিয়ে বাঁওড়ে’র সম্পদ তছরুপ করে আসছে। ভয়ে আমরা তাদের কিছুই বলতে পারিনা। এব্যাপারে বাঁওড় ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে বাঁওড়ের ক্ষেত্রসহকারী কবির হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনে হাসপাতালে আহত শান্তি হালদার দেখতে গিয়েছিলাম। শান্তি হালদারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করেছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে বাঁওড় পাড়ে’র গ্রাম গুলি’র একাধিক মানুষ অভিযোগ করেছে, বর্তমান বাঁওড় ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমানে’র সীমাহীন দুর্ণীতির কারণে এ সকল উৎশৃংখল যুবকেরা এমন অপরাধ কর্মকান্ড করতে সাহস পাই। রাতে’র অন্ধকারে মাছ তোলাসহ তার অপকর্ম ঢাকতে ওই সকল অপরাধীরা তারই সহযোগী হিসাবে কাজ করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে
Design and developed by zahidit.com