বাড়ি করতে দিতে হয় চাঁদা!

প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪

বাড়ি করতে দিতে হয় চাঁদা!

ডেস্ক রিপোর্ট: কৃষক রাজা মিয়া বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের সুজানগর গ্রামে।তার ৫ জন পুত্র সন্তানের ৪ জনই থাকেন প্রবাসে। ছেলের পাঠানো টাকা দিয়ে ৬-৭ বছর আগে পাংশা পৌর সভার মাগুরাডাঙ্গী এলাকায় কেনেন ৬ শতক জমি।চলতি বছর থেকে ওই জমির উপর ৩ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে তিনি।

তবে প্রতিরাতে নির্মাণাধীন ভবনের থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি হতে থাকলে স্থানীয়দের পরামর্শে মাগুরাডাঙ্গী এলাকার মো: রবিন (আওয়ামীলীগের ক্যাডার) নামের এক যুবক কে দেখাশোনার ভার দেন তিনি। তার জন্য প্রতি দিন ৫০০ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়াও অতিরিক্ত দিতে হয় ৫ হাজার টাকা। রবিন কয়েক দিনের মধ্যে ভবন নির্মাণ কাজের ২ হাজার ইট অন্যত্র বিক্রি করে দেন। বিষয়টি রাজা মিয়ার নজরে আসলে রবিনের কাছে জানতে চাইলে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন তিনি।

ঘটনার দুই দিন পরেই পাংশা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: আসকার দানিয়াল সিপার রাজা মিয়া (ভবনের মালিক) কে ফোন দিয়ে রবিনের সাথে ঝামেলা শেষ করতে বলেন। পরে পৌর বিএনপির সাবেক এই সভাপতির মাধ্যমে রাজা মিয়া ও রবিন তার বাড়িতে আসেন। সেসময় বিএনপির এই সাবেক নেতা রাজা মিয়া কে জানান রবিন কে ২ লক্ষ টাকা দিলে তার ভবন নির্মাণ করতে কেউ বাধা দিবে না। এত টাকা দিতে প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করেন রাজা মিয়া। পরে উপায় না পেয়ে ১ লক্ষ টাকা বিএনপি নেতা মো: আসকার দানিয়াল সিপারের হাতে দেন।

রাজা মিয়া বলেন, তখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিলো। রবিন আওয়ামীলীগের ক্যাডার সেই সাথে বিএনপির সাবেক নেতাও ছিলো। আমি ভয়ে কাউকে কিছু বলতে না পেরে টাকা দিয়ে দিছি।আমার ও আমার ছেলেদের কষ্টের টাকা।এখন সরকার পরিবর্তন হয়েছে আমি আমার টাকা ফেরত চাই।

অভিযুক্ত রবিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি কাজের টাকা পেতাম রাজার কাছে।মাত্র ১৫ দিনে এত টাকা কিভাবে পেতেন জানতে চাইলে তিনি দেখা করে কথা বলেন বলে জানান।