মহেশপুরে ভেস্তে গেলো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন হস্তান্তর অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

মহেশপুরে ভেস্তে গেলো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন হস্তান্তর অনুষ্ঠান

মহেশপুর প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের মহেশপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের কথা থাকলেও প্রধান অতিথি এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল ও মুক্তিযোদ্ধাগন না আসায় হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি ভেস্তে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমসহ মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ ও সুধিজনকে ভবনটি হস্তান্তরে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ ও সরকারি কিছু কর্মকর্তা ছাড়া কেউ উপস্থিত হননি। তিন ঘন্টা অপেক্ষার পর তারা স্থান ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ার ময়জদ্দীন হামীদ বলেন, গত ২০১৯ সালের ২৫শে জুলাই মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ভবনটি উদ্বোধন করেন। উদ্ধোধনের পর ৩০ হাজার ৩’শ ৮১ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে বর্তমানে ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী করা হয়। এমপি সাহেবের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে ১৩ ডিসেম্বর চাবি হস্তান্তরের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষন অপেক্ষার পর প্রধান অতিথি ও মুক্তিযোদ্ধারা না আসায় তারা স্থান ত্যাগ করেন।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তালেব জানান, তাদের কিছু দাবি-দাওয়া গত এক বছর ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী পূরণ না করায় তারা ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করেননি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দাওয়াতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন দীর্ঘ ৩ঘন্টা অপেক্ষা করে তিনি চলে আসেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে আপডেট তথ্য পরে জানাচ্ছি কিন্তু পরে তাকে মোবাইলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম অনুষ্ঠানে যাদের কাছে ভবনের চাবি হস্তান্তর করা হবে সে সকল মুক্তিযোদ্ধাগন যায়নি সে কারনে তিনি উপস্থিত হননি। তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রশাসনের প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তিনি তাদের সাথে বৈঠক করে এটি মীমাংসার চেষ্টা করছেন।