শেষ বেলার মিনতি

প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২০

শেষ বেলার মিনতি

ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান

সেই কবে থেকে কত হেক্সিসোল, কত যে মাস্ক গেল হেরে,
কত বারতা, কত সাবধানতা, তারপরও করোনার ফেরে।
মাঠে, ঘাটে, বাটে হেরেছি কত যে বেলা, অবেলা না খেয়ে,
পিপাসায় পানিও খাইনি যদি পিছে করোনা আসে ধেয়ে।

সেই মার্চ হতে বাচ্চারা আমার তাদের মায়ের সাথে ঘরে,
হাজতবাস কাকে বলে বুঝেছে তারা কত দিবানিশি ভরে।
বাচ্চারা মোর বলেছে, বাবা, ঘরবন্দী থাকতে পারিনা আর,
নীরবে সহ্য করেছি মোর গৃহবন্দী গিন্নীর করুণ হাহাকার।

আমি করোনা ছেড়েছি কিন্তু করোনা ছাড়েনি কভু মোরে,
আমার ঘরে সিঁদ কাটিল যে কি করে ব্যাটা করোনা চোরে।
এযে পাষন্ড চোরা, চোরা আমার গিন্নীর ঘরেও কাটে সিঁদ,
আমার পুত্র-পরিবারের প্রতি অন্যায় করে চোখে নাই নিদ।

আজ অপরাধবোধ মোরে ঘিরে খেলা করে মোর চারিপাশ,
মনের পাখি, মেলে আঁখি, বাতায়নে দেখে মেঘলা আকাশ।
কি করেছি, কিনা করেছি করোনা কালে, সবই গেল চুলায়,
অসার কর্ম জীবনে পাখি আজ কাঁদে বসে আপন কুলায়।

অকরুণ করোনার নিদারুণ খেলায় দিশেহারা মাঝি হালে,
দিনগুণে সেদিন কোনদিন গোনের জোয়ার লাগবে পালে।
হায়রে, নাদান মাঝি! পথ ভুলে হীরা ফেলে কাঁচ তুলে হাতে,
কোথায় চলেছ, কিভাবে এই আলো আঁধারি রাত-বিরাতে?

কে আছে আর তোমার সাথে বন্ধুর পথে বিশ্ববিধাতা বিনে,
জীবনপথে, পথে পথে, পথ চলোনি তুমি স্রষ্টারে চিনেচিনে।
অবুঝ আমি, এ জীবনে নিরুপায় নিরবধি নীরব উদাসীন।
শেষ বেলার মিনতি, তব আলোতে আমি হতে চাই বিলীন।

রচনাকালঃ ১২/১০/২০২০ খ্রি.
সময়কালঃ ৩.৫৬ পিএম। বারাসিয়া, মাগুরা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ