বিশ্ব কৃষিতে বাংলাদেশের অবস্থান

প্রকাশিত: ১২:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০

বিশ্ব কৃষিতে বাংলাদেশের অবস্থান

ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান

কৃষিই কৃষ্টি আজকে রাজসভায় আচরি,
মাটির সুধা অঙ্গে মেখে মোরা মরি মরি।
মাটির মর্মমুলে ফুল ফসলের সমারোহ,
বাংলাদেশের কৃষিই আজ বিশ্বে অহরহ।
রকমারি ফসলের প্রযুক্তি উদ্ভাবন সার,
দিনে দিনে কৃষি সমাচার আশার সঞ্চার।
প্রযুক্তি পাথেয় আধুনিক কৃষির স্পন্দন,
দিগন্ত বিস্তৃর্ণ মাঠেই কৃষকের স্বপ্ন বুনন।

শস্য, ফল, সবজি আর অর্থকরী ফসলে,
মাটির অঙ্গ ভরে হীরে কাঞ্চন মুক্তা ফলে।
গবেষণা, সম্প্রসারণ ও কৃষকের সমন্বয়,
দ্বিমুখী প্রক্রিয়ায় কৃষির উন্নয়ন সুনিশ্চয়।
বাড়তি মুখের খাদ্য চাহিদা পুরণ প্রয়াস,
বৈজ্ঞানিক পন্থায় সোনা মাটিতে শস্য চাষ।
পরিবেশ বান্ধব শস্য নিবিড়তাবর্ধন কলা,
বিশ্ব কৃষিতে আমাদের কৃষির কথা বলা।

হেক্টর প্রতি ফল উৎপাদনে আমরা প্রথম,
মানসম্মত ফল উৎপাদন বৃদ্ধি তো হরদম।
আম, জাম, কলা, পেঁপে, আমলকি, আতা,
এতসব হরেক ফল ফলায়ে সেরা বঙ্গমাতা।
মধু মাসে চিত্ত হাসে ফলের গন্ধে ভরে প্রাণ,
জামাই ষষ্টি, বাঙ্গালি কৃষ্টি সৃষ্টিতে ম্রিয়মান।
কালে প্রিয়দেশ হবে ভূমধ্যসাগরীয অঞ্চল,
ফলে ফল, ফলে মোরা পাব অর্থ পুষ্টি বল।

বিশ্বে প্রথম বহু ফসলের জাত উৎপাদনে,
কৃষিই সমৃদ্ধি আজ বাঙালির মনে প্রাণে।
এককে রকমারি ফসলের ফলনের বাহার,
তা যে ফসল জাতের এক স্বকীয় উপহার।
জাত যে জীবনে সবার স্বপ্ন সুখের আকর,
মণি মুক্তা হেম পুর্ণমণি খনি জ্ঞানে তাকর।
ফসল উৎপাদনে জাতের জুড়ি মেলা ভার,
জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশ বিশ্বে অহংকার।

বেশি বেশি সব্জি খাবার তাগিদ সবিশেষ,
সব্জির এরিয়া বৃদ্ধিতে প্রথম বাংলাদেশ।
চাহিদা বেশি চাষ বেশি শাকসব্জি স্বদেশে,
আলু পটল উচ্ছে করলা কুমড়া বারমেসে।
ডায়াবেটিস রোগীরা সব্জি খাবে মাপছাড়া,
মাঠের পর মাঠ সব্জি পরিপাট নজরকাড়া।
শীতের কাঁচা বাজার তো সব্জিতে সয়লাব,
সব্জি চাষি মুখে হাসি এতবেশি লাভালাভ।

জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবনে দেশ,
গোটা বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন অনিমেষ।
ধান উৎপাদনে বিশ্বে আমাদের চতুর্থ স্থান,
ঈর্ষনীয় অগ্রগতি সুমহান- এটাই অবদান।
ধান উৎপাদনে পানির খরচ অনেক বেশি,
পরিবেশের ভারসাম্যে কত যে হ্রেষারেষি।
মাছে ভাতে বাঙালিয়ানাই আমাদের কৃষ্টি,
ধানফলনে প্রথম স্থান অর্জন মোদের দৃষ্টি।

সোনালী আঁশ যে বাঙালি ঐতিহ্যের স্থল,
পাট মানে সেতো মোদের অর্থ সম্পদ বল।
পাট রপ্তানীতে বিশ্বে প্রথম বাংলাদেশ প্রিয়,
উৎপাদনে সোনা ফলানো এই দেশ দ্বিতীয়।
বাংলার ডান্ডি নারায়ণগঞ্জ আমাদের গর্ব।
পাটজাত পণ্য কিনে সবে ধন্য বিশ্বে সর্ব।
তড়িঘড়ি রৌদ্র বৃষ্টির যে লুকোচুরি খেলা,
পাট উৎপাদনে তার অবদান বহুত মেলা।

আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে অস্টম,
পুরা বছর তো আলুর ব্যবহার হয় হরদম।
আম উৎপাদনে সপ্তম আম জগতে হায়,
ফল উৎপাদনে আটাশ তম বিশ্ব বসুধায়।
চা উৎপাদনে চতুর্থ মোদের গর্ব কত ভাই,
সোনা ফলানো এমন দেশের তুলনা নাই।
ফুলে ভরা এই মাটিরে মোরা অঙ্গে মাখি,
হৃদয় দেশে এই দেশের আঁলপনা আঁকি।

দিক্বিদিকে আজি কৃষির অভিভুত উন্নয়ন,
দুই হাজার ত্রিশেই হবে এসডিজি অর্জন।
দুই হাজার একচল্লিশের উন্নত বাংলাদেশ,
সাত মার্চের মহাকবির দৃষ্টিতো অনিমেষ।
আমি কালের কবি ঐ মহাকবির স্বপ্ন বুনি,
আমি বাঙ্গালি দারিদ্র্য বিজয়ের দিন গুনি।
আমি বাংলা মা’র মাটি চিরে সোনা ফলাই,
আমি বিজ্ঞানী মহাকবির স্বপন গড়ে যাই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ