জামি

প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০

জামি

ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান

পাঁচ সেপ্টেম্বর দিবসের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
আমার মন মাজারে সঙ্গোপনে বিরাজন।
দিনের প্রথম প্রহরে আসে মোদের জামি,
তার আগমণে মুগ্ধ মোরা সবে দিবাযামী।
মিটিমিটি চাহুনি, গোলগাল চেহারা তার,
সে যে সাত রাজার ধন কোলজুড়ে মা’র।
মাতৃক্রোড়ে বাবা আমাদের সোনার বাড়া,
তার সপ্রতিভ চাহুনী সবার নজর কাড়া।

পাঁচ সেপ্টেম্বর হতে মোর জনমে ভায়না,
আমার জীবন ইতিহাসে অমলিন আয়না।
একটা ক্লিনিক, একটা ভায়না মোর স্মৃতি,
কত হাসি, কত গান কত জনমে সম্প্রীতি।
তাই এই মাগুরাকে আমি বড় ভালোবাসি,
দুর হ’তে ভাবনায় বারেবারে ফিরে আসি।
ভাবের কবিকে স্মৃতিরা করে ডাকাডাকি,
ভাবনায় আমি ফিরে আসি যতদুরে থাকি।

সেই কবে হতে সেপ্টেম্বর ঘুরেফিরে এলে,
হারানো সব স্মৃতি জেগে ওঠে হৃদয়তলে।
ছেলের মায়ের তোড়জোড়ে মুখরিত বাড়ি,
ভাবি পাঁচ সেপ্টেম্বর কবে হবে তাড়াতাড়ি।
জামির পছন্দ পায়েস, গোমাংস কতকিছু,
নুতন টেডিবিয়ারের বায়না রয় পিছু পিছু।
সকাল হতে সবে রকমারি পাকে শশব্যস্ত,
প্রভাতে ভাবি কোন কাজে আমি হব ন্যাস্ত।

মিষ্টি ব্যক্তিত্ব, মেজাজে ঢের তেজী তুফান,
তার মা’র চেয়ে মেজাজ অধিক বেগবান।
অভিমানে মা তার নির্ঘাত ফেল সেটা বুঝি,
তার মাঝে খুঁজে পেলাম তার মায়ের পুঁজি।
যা করে তাতেই তার মনোযোগ ষোলআনা,
আচরণে মনে হয় বাবা ঢের বেশি সিয়ানা।
পিতৃপ্রেমে আমার বাবার জুড়ি মেলা ভার,
জীবনের মানে খুঁজে পেলাম ব্যবহারে তার।

চার বছর পুর্ণতে তার এত কথা ও এত গান,
যেন পেশাদারী গাইয়ের মত সমানে সমান।
কবিতা ও গানে তার কত যে রকমারি ভঙ্গি,
আমি তার একনিষ্ঠ মুগ্ধ শ্রোতা নীরব সঙ্গী।
তার কথায় কথায় রুপবাহারি যাদুকরী ছন্দ,
নীরবে নিভৃতে মোর মনে লাগে বড় আনন্দ।
রাবিন্দ্রভাবে তাকে কাব্য জগতে খুঁজে পাই,
মানব কল্যাণী মানুষ হলেই আমি খুশি ভাই।

রচনাকালঃ ০৬/০৯/২০২০ খ্রি.
সময়কালঃ ৬.৩২ এএম।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ