বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার ড. খানের কালজয়ী কবিতা  “আল্লাহ, তুমি কেমন ডিজাইনার”?

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২০

বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার ড. খানের কালজয়ী কবিতা  “আল্লাহ, তুমি কেমন ডিজাইনার”?

 ড. খান মোঃ মনিরুজ্জামান

আল্লাহ, তুমি কেমন ডিজাইনার?
তোমার মত ইন্জিনিয়ার বিশ্ব ব্রক্ষান্ডে কোথাও নাই আর।
এত নির্ভূল তোমার ডিজাইনগুলো।
আগুন ছাড়া অবিরত জ্বলে তোমার তৈরি কলের চুলো।
দেহের সব ক’টা সেলে মাইটোকন্ড্রিয়া,
তুমি দিলেনা কেবল আরবিসিতে কারণ ব্যাকরণ দিয়া।
আরবিসি হলে মাইটোকন্ড্রিয়ার মালিক,
ফুসফুসের অক্সিজেন টিস্যুতে যেতে খরচ হতো অধিক।
টিস্যুরা তখন আর অক্সিজেন পেতোনা,
দেহ বিপাকে খাদ্য হতে আর এটিপি উৎপাদন হতোনা।

আল্লাহ,, তুমি কেমন ডিজাইনার?
ভুলের উর্ধ্বে তোমার ডিজাইন উৎকর্ষ বিচারে অপার।
হে আল্লাহ তোমার ডিজাইনে পাই,
সেন্ট্রিওল কেবলমাত্র  গ্লিয়াল সেল আর নিউরনে নাই,
ব্রেইনকোষ মাল্টিপ্লাই হত অবিরত,
মানুষের ব্রেইন সেলে সেন্ট্রিওল রইলে অন্যখানের মত।
বিগত সব তথ্য রইতোনা কোনমতে,
একপ্রেসে মেমোরির সব তথ্য কথ্য-অকথ্য কেল্লাফতে!
পাওনাদারে টাকার কথা যেত ভুলে,
দেনাদারেরও দেনার কথা রইতোনা মেমরিতে  সমুলে।

আল্লাহ, তুমি কেমন ডিজাইনার?
এমন খাঁটি পরিপাটি  যুক্তিযুক্ত পোক্ত ডিজাইন তোমার।
পোস্টেরিও থোরাসিকে ব্লাড সাপ্লাই,
এক্ষেত্রে ডিসেন্ডিং থোরাসিক এওর্টার কোন তুলনা নাই।
ডিসেন্ডিংএ  লেফট হার্ট থেকে এওর্টা,
আমার লাগে বড় খটকা, ভাবলে বেশ গরম হয় মটকা।
উপরের দু’টি পাঁজর মিস হয়ে গেছে,
ভাবনায় আসে তাহলে হয়তো ব্লাড কেউনা-কেউ দিছে।
ব্লাডবিনে চলতে পারেনা পাঁজর দু’টি,
কস্টোসারভাইকাল ট্রাঙ্কের কন্টার্কটারিতে বুঝি খুটিনাটি।

আল্লাহ, তুমি কেমন ডিজাইনার?
তোমার ডিজাইনে এতসব দক্ষ হাতের জ্যামিতিক বাহার।
বাতাসে ধুলি আর জীবাণু বোঝাই,
তৃতীয় বিশ্বের দেশে বেঁচে আছি এর চেয়ে ঢের বেশি নাই।
প্রতি মুহুর্তে আমরা নাক দিয়ে টানি,
আধা লিটারের মত বাতাস ডাক্তারি বিদ্যায় জানাজানি।
বাতাসে এত ধূলিকণা আর জীবাণু,
তবু কি আশ্চর্য! র্সিলিয়ারি বিট! প্রাকৃতিক ঝাড়ুদার ঝানু।
.প্রতিনিয়ত তা ঝাড়ু দিচ্ছে অবিরত,
এমন ঝাড়ুদার আর হয়না জাহানে সিলিযারি বিটার মত।

আল্লাহ, তুমি এ কেমন ডিজাইনার?
নির্ভূল, নিখুঁত আর যৌক্তিক তব ডিজাইন দেহঘরানার।
কানের অবস্থান বগলে হলে পরে,
শ্রবণ করতে হতো পাখি উড়ার মত হাত মেলে চরাচরে।
নাকের অবস্থান নিতম্বদেশে হলে,
খাবারের গন্ধ নেয়ায় রইতো আনন্দ দেহ রং মহমহলে।
চোখের অবস্থান হলে মস্তক পিছনে,
নয়ন নিরিখে পথ চলার কথা ভাবি মনে বসে বিজনে।
বানালে তুমি এমন আজব ঘরখানা,
এই ঘরে দমের পাখির নিগুঢ় কথা ভবে কেউ জানেনা।

রচনাকালঃ ২১/০৮/২০২০ খ্রি.
সময়কালঃ ৭.০০ এএম।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ