ঝিনাইদহে যুবতী মেয়েদের দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া পতিতা সর্দার বেবি আটক

প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২০

ঝিনাইদহে যুবতী মেয়েদের দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া পতিতা সর্দার বেবি আটক
মনিরুজ্জামান সুমন,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ শহরের পাড়ায় পাড়ায় জেনা ব্যাভিচারের পাশাপাশি যুবতী নারী দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে। মোবাইলে প্রেমের অভিনয় করে টাকা দাবী করা হচ্ছে। টাকা না দিলে যুবতীর সাথে নগ্ন করে ছবি উঠিয়ে ফাঁস করার হুমকী দেওয়া হচ্ছে। এ রকম একটি চক্রর ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ওুলিশ । এর মধ্যে রয়েছে ৫ জন যুবতী নারী। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শৈলকূপা উপজেলার বাহির রয়েরা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে তন্মী (২৫), সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মুখী গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে সুমী (২৪), নলডাঙ্গা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের প্রফুল্ল কুমারের ছেলে শ্রী প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস (৩০), সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মায়াধরপুর গ্রামের আফান উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন (২৫), কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামের খেলাফত মালিতার মেয়ে ইতি খাতুন (২২), ঝিনাইদহ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ছোট কামারকুন্ডু গ্রামের সাগরের স্ত্রী লাবনী খাতুন (২০) ও নলডাঙ্গা গ্রামের মৃত হারুনের স্ত্রী সোহানা (২৫)।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাট গোপালপুর গ্রামের সমশের মন্ডলের ছেলে আনিচ মণ্ডলের সাথে মোবাইলে পরিচয়ের সুত্র ধরে শৈলকূপা উপজেলার বাহির রয়েরা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে তন্মীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই মোতাবেক তন্বী আনিসের নিকট অসুস্থার কথা বলে ৫ হাজার টাকা চাই। আনিচ তাকে ২ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। তন্বী আনিচকে শহরের ব্যাপারীপাড়ায় আড়মুখী গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে সুমীর ভাড়া বাড়িতে আসতে বলে। আনিচ ৩১ শে জুলাই বিকালে ২ হাজার টাকা নিয়ে তন্নীর কথামত সূমীর ভাড়া বাসায় গিয়ে দরজায় নক করে। ভিতর থেকে সুমীর দরজা খুলে দিলে আনিচ এবং তন্নী বাসার ওয়েটিং রুমে বসে। এ সময় নলডাঙ্গা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের প্রফুল্ল কুমারের ছেলে শ্রী প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস সুমীর পাশের রুম থেকে বেরিয়ে এসে আনিচকে ফাঁদে ফেলে দেয়। দাবী করে ৫০ হাজার টাকা। টাকা না দিলে তন্বীর সাথে আনিচের উলঙ্গ ছবি তুলে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেবার হুমকী দেয়। এছাড়া তন্নী কাপড় খুলে র্অধ নগ্ন হয়ে পড়ে। আনিস তাদেরকে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তন্নী, সুমী ও শ্রী প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস তাকে মারধর করে। আনিস বাধ্য হয়ে তার মায়ের কাছে ফোন করে ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলে। আনিসের মা হাটগোপালপুর বাজারে এসে তন্মীর বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। স্থানীয় লোকজন তন্নী, সুমী ও শ্রী প্রদ্যুৎ কুমারের কবল হতে আনিসকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি পুলিশ জানতে পেরে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। এদিকে গত রোববার রাত ৯ টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের আলহেলা পাড়া থেকে রাসেল হোসেন, ইতি খাতুন ও লাবনী খাতুনকে গ্রেফতার করে। তারা বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছিল। এ ভাবে শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় চলছে অসামাজিক কর্মকান্ড। এক শ্রেনীর টাউট বাটপার ও প্রতারক শ্রেনীর মানুষ এ সব অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত থাকলেও তারা থাকছে ধরাছোয়ার বাইরে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এ ধরনের কাজকর্ম করে এক শ্রেণীর মানুষ যুব সমাজ কে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এই অভিযান অব্যহত থাকবে। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে নলডাঙা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত রুহুল বিশ্বাসের স্ত্রী পতিতাবৃত্তির মূলহোতা বেবীকে আটক করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ