ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে প্রকৌশলীকে পেটানো সেই চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে প্রকৌশলীকে পেটানো সেই চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক ঃ   ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলী রওশন হাবিবকে পিটিয়েছে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও ফলসি ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। একটি ঠিকাদারি কাজের বিল দেওয়াাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান এ হামলা চালিয়ে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠে। 

এ ঘটনায় সোমবার (১৮ মে) বিকালে হরিণাকুন্ডু থানায় উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিব বাদি হয়ে ফলসি ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও তার সহযোগী রফিকসহ অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। পুলিশ আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হরিনাকুন্ডু এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান (৫০) কে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, আজ সোমবার বিকালে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলা পরিষদের ভিতরে স্থানীয় ফলসি ইউপি চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার ফজলুর রহমান একটি ঠিকাদারী কাজের বিল নিয়ে প্রকৌশলী রওশন হাবিবের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তাকে অফিসের মধ্যে ফেলে মারপিট করেন বলে অভিযোগ উঠে।

এ ঘটনার পর উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিব বাদি হয়ে থানায় চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও তার সহযোগী রফিকসহ অজ্ঞাতদের আসামী করে মামলা করা হয়। পুলিশ আজ সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিব জানান, হরিণাকুন্ডু উপজেলা ৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে। এ জন্য ২ কোটি ২৩ লাখ টাকার বিল এসেছে। ঈদ সামনে করে সব ঠিকাদারকেই কম বেশি বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন ফান্ডে ১৬ লাখ টাকা আছে। ফজলু চেয়ারম্যান একাই ১৬ লাখ টাকা নিতে চান।

প্রকৌশলী রওশন হাবিবের ভাষ্য মতে ১৬ লাখ টাকা তিনি ঠিকাদার কবির ও আলাউদ্দীন এবং ফজলুর রহমানের মাঝে ভাগ করে দিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে ফজলু চেয়ারম্যান তার উপর ক্ষিপ্ত হন। প্রকৌশলী রওশন হাবিব অভিযোগ করে দুই মাস আগে মামুন নামে আরেক প্রকৌশলীকে চেয়ারম্যান ফজলু মারপিট করেন। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ার করার কারণে কেও তার বিচার করেনি।

তবে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারপিটের কথা অস্বীকার করে জানান, বিল নিতে গেলে উপজেলা প্রকৌশলী তার কাছে উৎকোচ দাবী করেন। এ জন্য তার সাথে তর্ক বিতর্ক হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ