৪ মাসের শিশু বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে  টিকা না দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত কমিটির গাফিলতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০

 ৪ মাসের শিশু বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে  টিকা না দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত কমিটির গাফিলতির অভিযোগ

 

ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক ঃ  কোটচাঁদপুরে ৪মাসের শিশু বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে  টিকা না দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত কমিটির গাফিলতির অভিযোগ করেছেন শিশুটির পরিবার। ঘটনাটি ঘটে কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা দোহার পাড়ার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ভাগ্নে ৪ মাস বয়সি রঞ্জিন মাহমুদ এর সাথে।

ঘটনার বিবরনে যানা যায়, ১৪ সপ্তাহে কুশনা দোহার পাড়া টিকা কার্যক্রমে টিকা দিতে গেলে সেখানে কর্মরত মোঃ ওহিদুল ইসলাম প্রথম ১ ঘন্টা তাকে বসিয়ে রাখে এবং খারাপ আচরণ করেন তখন বাচ্চাটির অভিভাবক কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ বিষয়টি জানান, কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মোঃ মিলন হোসেন কুশনা দোহার পাড়া কার্যক্রমে কর্মরত মোঃ ওহিদুল ইসলাম কে অনুরোধ করলে সে টিকা দিতে রাজি হয়। এবং টিকা ফুটানোর সময় অভিভাবকের ওপর জেদ করে বাচ্চাটিকে অমানবিকভাবে চেপে ধরে টিকা দেয় এতে তার পায়ে ভীষণভাবে আঘাত পায় আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে রক্ত জমাট বাঁধে এবং স্থানটি রক্ত জমাট বাঁধে এবং স্থানটি সাথে ক্ষ ফুলে যায়।যার কারনে বাচ্চাটি কান্নাকাটি করে এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত স্বাস্থকর্মী মোঃ অহিদুলের কাছে  জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন এটা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করবার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে আমি এটার ব্যাপারে কোন ভাবে দায়ী নয়।

অন্যদিকে শিশুটির মামা হাবিবুর রহমান জানান, এমন ঘটনার পর  দ্বায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে টিকা দানকারি স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে গত ১৬/০৪/২০ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।কিন্তু বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এখোনো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি গত ২৪/০৪/২০ইং তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন করোনার কারনে আমরা ব্যস্থ  থাকায় এখোনো সময় করতে পারিনি। এছাড়াও তিনি আমাকে বলেন শিশুটিকে নিয়ে আপনাদের তো আমার সাথে দেখা করার কথা আপনারাতো আসেন নি।

হাবিবুর রহমান আরো বলেন ওই কর্মকর্তা মিথ্যা বলছেন কারন তিনি আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগই করেন নি এবং আমার ভাগ্নেকে নিয়ে যাবার বিষয়ে কোনো কথাও হয়নি।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেককে বলেন , করোনার কারনে আমরা ব্যাস্ত সময় পার করছি । তারপরও আমরা তদন্তের জন্য শিশুটির পরিবারকে শিশুটি সহ হাসপাতালে আসতে বলি কিন্তু করোনা অতঙ্কে তারা হাসপাতালে আসতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের কে আমার ব্যক্তিগত চেম্বারে আসতে বললেও তারা আসেন নি। তারপরও তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করার ব্যবস্থা করা হবে।