সৌদিতে বাংলাদেশি তরুণদের মানবেতর জীবন

প্রকাশিত: ৭:২০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০১৮

সৌদিতে বাংলাদেশি তরুণদের মানবেতর জীবন

একটু ভালো থাকতে কে না চায়। অবস্থার পরিবর্তনের আশায় বাবা-মা, সন্তান, দেশের মানুষ ছেড়ে তরুণেরা প্রতিনিয়ত পাড়ি জমাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। শ্রমিকের একটি বড় অংশ রয়েছে সৌদি আরবে। দেশটিতে বিগত সময়ের থেকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা।

নিয়মের বেড়াজালে হাজার সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সৌদি প্রবাসীরা। এসব নিয়ম-কানুন ও সমস্যার মধ্যে সময় পার করছে সৌদিতে থাকা প্রায় ১৮ লাখ প্রবাসী। এরই মধ্যে প্রতিদিন দেশ থেকে প্রবাসমুখী হচ্ছে নতুন নতুন শ্রমিক। নতুন শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই থাকছে বেকার।

অন্যদিকে ভিসা চালু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের কিছু অসাধু এজেন্সি গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ আনছে। ভিসার সঙ্গে থাকছে না কাজের মিল। ফলে শ্রমিকরা পড়ছে নানা সমস্যায়। এদেশে এসে তরুণেরা মানবেতর জীবন পার করছে।

অসাধু এজেন্সির মধ্যে উঠে এসেছে RAJ OVERSEAS LTD এর কথা। এই এজেন্সিটি সৌদি আরবে ইঞ্জাজ নামক এক কোম্পানিতে টি বয় এবং ক্লিনারের কাজ দেবে বলে প্রায় ১৫০ জনের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাদের সৌদি আরব পাঠান। যাদের মধ্যে ২ মাস ৪ মাস ৬ মাস হয়ে গেলেও চুক্তি অনুযায়ী কাজ পায়নি। এমনকি ইকামা পাচ্ছে না। পাচ্ছে না ঠিকমতো খাবার।

sau2

প্রায় ৭০ জন প্রবাসী অভিযোগ করে বলেন, এমনও অনেক দিন গেছে যে তারা না খেয়ে দিন পার করেছে, সর্বশেষ কোনো উপায় না পেয়ে তারা দেশ থেকে খাবারের টাকা আনছে বলে জানায়। এক পর্যায়ে তারা অভিযোগ নিয়ে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসে গেলে, দূতাবাস তাদের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই এজেন্সির সার্ভার বন্ধ করে দেয়।

সার্ভার বন্ধ হওয়ার কিছুদিন পর এজেন্সি থেকে আদনান নামে একজন রিয়াদ দূতাবাসে আসে। ওই সময় উপস্থিত ছিল দূতাবাসে প্রতারণার শিকার অনেকে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান। এবং সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ সমস্ত শ্রমিকের খাবার ব্যবস্থারও আশ্বাস দেন।

বেশ কিছুদিন পর সবাই ফের দূতাবাসে যান, জাগো নিউজকে তাদের সমস্যার বিষয়টা তুলে ধরে। পরবর্তীতে এসব শ্রমিকদের তারা প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন বলে জানা গেছে। জাগো নিউজের সহযোগিতায় শ্রমিকেরা খাবার স্বরূপ ২০০ রিয়াল করে পায়।

অন্যদিকে ভুক্তভোগী প্রবাসীরা বলছেন, ‘এক মাসের কথা তারা ৭ মাস থেকে বলছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। দেশে টাকা-পয়সা সুদে কিংবা ধার করে এসেছি। কাজ পাচ্ছি না আবার সুদও বাড়তে আছে। এ অবস্থায় সৌদি আরব বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ